Tuesday, July 28, 2015

ভারতের প্রেসিডেন্ট A P J Abdul Kalam এর সংক্ষিপ্ত জীবনী | বিখ্যাত উক্তি

apj abdul kalam

সংক্ষিপ্ত জীবন পরিচিতিঃ আব্দুল কালাম আজাদ ২৫ জুলাই ২০০২ থেকে ২৭ জুলাই ২০০৭ পর্যন্ত ভারতের ১১তম প্রেসিডেন্ট এর দায়িত্ব পালন করেন। আবুল পাকির জয়নুল-আবেদিন আব্দুল কালাম ১৯৩১ সালের ১৫ অক্টোবর ব্রিটিশ ভারতের মাদ্রাজ প্রেসিডেন্সী (অধুনা ভারতের তামিলনাড়ু রাজ্যের) রামেশ্বরমের এক তামিল মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন।এবং ২০১৫ খ্রিস্টাব্দের ২৭শে জুলাই মেঘালয়ের শিলং শহরে অবস্থিত ইন্ডিয়ান ইইন্সটিটিউট নামক প্রতিষ্ঠানে বসবাসযোগ্য পৃথিবী বিষয়ে বক্তব্য রাখার সময় ভারতীয় স্থানীয় সময় সন্ধ্যে ৬:৩০ নাগাদ হৃদ্‌রোগে আক্রান্ত হন। তাঁকে বেথানী হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়, যেখানে সন্ধ্যে ভারতীয় স্থানীয় সময় ৭:৪৫ নাগাদ তাঁর মৃত্যু ঘটে।কালাম তাঁর কর্মজীবন শুরু করেছিলেন একজন বিজ্ঞানী হিসেবে। পরে তিনি ঘটনাচক্রে রাজনীতিবিদে পরিণত হন তিনি পদার্থবিদ্যা ও বিমান প্রযুক্তিবিদ্যা নিয়ে পড়াশোনা করেছিলেন।এরপর চল্লিশ বছর তিনি প্রধানত রক্ষা অনুসন্ধান ও বিকাশ সংগঠন (ডিআরডিও) ও ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থায় (ইসরো) বিজ্ঞানী ও বিজ্ঞান প্রশাসক হিসেবে কাজ করেন। ভারতের অসামরিক মহাকাশ কর্মসূচি ও সামরিক সুসংহত নিয়ন্ত্রিত ক্ষেপণাস্ত্র উন্নয়ন কর্মসূচির সঙ্গে তিনি অঙ্গাঙ্গীভাবে যুক্ত ছিলেন। ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ও মহাকাশযানবাহী রকেট উন্নয়নের কাজে তাঁর অবদানের জন্য তাঁকে ‘ভারতের ক্ষেপনাস্ত্র মানব’ বা ‘মিশাইল ম্যান অফ ইন্ডিয়া’ বলা হয়। ১৯৯৮ সালে পোখরান-দুই পরমাণু বোমা পরীক্ষায় তিনি প্রধান সাংগঠনিক, প্রযুক্তিগত ও রাজনৈতিক ভূমিকা পালন করেন। এটি ছিল ১৯৭৪ সালে স্মাইলিং বুদ্ধ নামে পরিচিত প্রথম পরমাণু বোমা পরীক্ষার পর দ্বিতীয় পরমাণু বোমা পরীক্ষা।
২০০২ সালে কালাম তৎকালীন শাসকদল ভারতীয় জনতা পার্টি ও বিরোধী দল ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের সমর্থনে রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হন। পাঁচ বছর এই পদে আসীন থাকার পর তিনি শিক্ষাবিদ, লেখক ও জনসেবকের সাধারণ জীবন বেছে নেন। ভারতের সর্বোচ্চ অসামরিক সম্মান ভারতরত্ন সহ একাধিক গুরুত্বপূর্ণ সম্মান ও পুরস্কার পেয়েছিলেন কালাম।

apj abdul kalam

আব্দুল কালামের বিখ্যাত কিছু উক্তিঃ

১। সূর্যের মতো দীপ্তিমান হতে হলে প্রথমে
তোমাকে সূর্যের মতোই পুড়তে হবে।

২। স্বপ্নকে সত্যি করতে হলে প্রথমে তোমাকে স্বপ্ন
দেখতে হবে।

৩। ঘুমের মধ্যে যা তুমি দেখো, সেটা স্বপ্ন না। যা
তোমাকে ঘুমাতে দেয় না, সেটাই স্বপ্ন।

৪। শ্রেষ্ঠত্ব একটি চলমান প্রক্রিয়া এবং এটি কোনো
আকস্মিক ঘটনা নয়।

৫। জীবন একটি কঠিন খেলা। ব্যক্তি হিসেবে মৌলিক অধিকার
ধরে রাখার মাধ্যমেই শুধুমাত্র তুমি সেখানে জয়ী হতে
পারবে।

৬। সাফল্যকে উপভোগ করার জন্যই জীবনে প্রতিবন্ধকতা
প্রয়োজন।

৭। আমাদের তরুণ প্রজন্মকে সমৃদ্ধ এবং নিরাপদ ভারত প্রদান
করতে পারলেই তারা আমাদের মনে রাখবে। অর্থনৈতিক
সমৃদ্ধি এবং সভ্যতার ঐতিহ্যকে ধরে রাখার মাধ্যমে তা
সম্ভব।

৮। যারা হৃদয় দিয়ে কাজ করতে পারে না; তাদের অর্জন
অন্তঃসারশূন্য, উৎসাহহীন সাফল্য চারদিকে তিক্ততার উদ্ভব
ঘটায়।

৯। শিক্ষার্থীদের মাঝে অনুসন্ধানের প্রেরণা,
সৃষ্টিশীলতা, উদ্যোগী মনোভাব এবং নৈতিক নেতৃত্ব
সৃষ্টি করার মাধমে তাদের আদর্শ হয়ে উঠা একজন
শিক্ষাবিদের দায়িত্ব।

১০। আকাশের দিকে তাকাও। আমরা একা নই। পুরো মহাবিশ্ব
আমাদের প্রতি বন্ধুত্বসুলভ। যারা স্বপ্ন দেখে এবং কাজ
করে শুধুমাত্র তাদেরকেই শ্রেষ্ঠটা দেয়ার জন্য
চক্রান্তে লিপ্ত এই বিশ্ব।

১১। যদি একটি দেশকে দুর্নীতিমুক্ত এবং সুন্দর মনের
মানুষের জাতি হতে হয়, তাহলে আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি
এক্ষেত্রে তিনজন সামাজিক সদস্য পার্থক্য এনে দিতে
পারে। তারা হলেন বাবা, মা এবং শিক্ষক।

১২। ভিন্নভাবে চিন্তা করার ও উদ্ভাবনের সাহস থাকতে হবে,
অপরিচিত পথে চলার ও অসম্ভব জিনিস আবিষ্কারের সাহস
থাকতে হবে এবং সমস্যাকে জয় করে সফল হতে হবে।
এ সকল মহানগুণের দ্বারা তরুণদের চালিত হতে হবে। তরুণ
প্রজন্মের প্রতি এই আমার বার্তা।

No comments:

Post a Comment